বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মুরগির খামারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ‘ল্যাট্রিন’ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই খামারের জায়গার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন। খামারটির জন্য তিনি জায়গা ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন’ নির্মাণ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উপজেলায় ৬৯টি ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ৩০টির বেশি ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ল্যাট্রিন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ল্যাট্রিনের সঙ্গে একটি করে সাবমারজিবল পাম্পের নলকূপ রয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, কোনো উন্মুক্ত জায়গা বা বাজার এলাকায় ল্যাট্রিন নির্মাণ করার কথা। এ ছাড়া গ্রামের দুই থেকে তিনটি পরিবারের জন্যও ল্যাট্রিন করা যেতে পারে। তবে কোনো উন্মুক্ত জায়গা না পেলে ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা, যেখানে জনসাধারণ যেতে পারবে এমন জায়গায় ল্যাট্রিন নির্মাণ করা যাবে।
পাওয়া তথ্য মতে, আক্তার হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই ওই খামারের জায়গায় ল্যাট্রিনটি করা হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ভালো করে জানি না কিভাবে কী হয়েছে। অযথাই এটা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। অথচ এ ল্যাট্রিনে আশপাশের মার্কেট ও পেট্রল পাম্পের লোকজন ব্যবহার করতে পারবে। এটা শুধু মুরগির খামারের লোকজনের কাজে লাগবে- এমন নয়।’
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মির্জাপুর বাজার থেকে অনুমানিক ১০০-১৫০ গজ দূরত্বে সিএনজি পাম্পের উত্তর পাশে সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জায়গাটি ভাড়া নিয়ে মুরগির খামার করেছেন। রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি চারপাশে প্লাস্টিকের নেট দিয়ে দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইচ্ছে করলেই এখানে কারো সরাসরি প্রবেশের সুযোগ নেই। মূলত খামারের লোকজন এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারবে।
বিজয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উন্মুক্ত জায়গা না পেলে ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা, যেখানে জনসাধারণ যেতে পারবে এমন জায়গায় ল্যাট্রিন নির্মাণ করা যেতে পারে। মির্জাপুরের মোড়ের ওই জায়গায় ল্যাট্রিন নির্মাণের পর সাধারণ মানুষ সেটি ব্যবহার করলে কোনো আপত্তি নেই বলে আক্তার হোসেন আমাদের জানিয়েছেন। তবে সেখানে মুরগির খামার থাকার বিষয়টি জানা নেই।
Leave a Reply